পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের পর চালু হতে যাচ্ছে নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে খুলনা থেকে ছেড়ে ট্রেনটির শুক্রবার সকালে রাজধানীতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
ট্রেনটির ছয় বগিতে আসন রয়েছে প্রায় ৬০০টি। মাত্র ২১০ টাকায় এই ট্রেনে খুলনা থেকে যাওয়া যাবে ঢাকায়। সপ্তাহে সাতদিনই চলবে এই ট্রেন।
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে খুলনা থেকে নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তবে শুক্রবার থেকে ট্রেনটি প্রতিদিন রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। ট্রেনটি মোট ২৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং যাত্রী ওঠানামা করবে।
তিনি জানান, ট্রেনটি ইজারার মাধ্যমে পরিচালনা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এনআরএসআর ট্রেডিং। ট্রেনটি আগে মেইল হিসেবে খুলনা থেকে গোয়ালন্দ রুটে চলাচল করত। এখন মাত্র ২১০ টাকায় খুলনা থেকে পৌঁছানো যাবে রাজধানীতে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর থেকে খুলনা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা রুটে চলাচল করছে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন। মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য ছয় দিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। আগে এই ট্রেনটি অনেক পথ ঘুরে যমুনা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাওয়া-আসা করত। নতুন এ রুটে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় কম লাগছে অন্তত দুই ঘণ্টা। এ ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫০০ টাকা। এ ছাড়া রোববার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিন যমুনা সেতু দিয়ে খুলনা থেকে ঢাকায় যাওয়া-আসা করে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন।
তবে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে বাসে ঢাকায় যেতে সময় লাগে মাত্র চার ঘণ্টা। কিন্তু ট্রেনে তার চেয়ে বেশি সময় লাগছে। সরাসরি রেললাইন স্থাপন করা গেলে পদ্মা রেল সেতুর সুফল পুরোপুরি খুলনাবাসী পাবে।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, বাসের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত আরামদায়ক হওয়ায় অনেকে ট্রেনে খুলনা থেকে ঢাকায় যেতে চায়। কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়েও ট্রেনে যেতে বাসের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। সে কারণে খুলনা-ঢাকা রুটে সরাসরি রেললাইন স্থাপন এখন সময়ের দাবি।
খুলনা গেজেট/ এএজে